Posts

Showing posts from 2018

ক্ষমা

Image
“ক্ষমা” আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর (নুহকে) বলছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষন করবেন। আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য দেবেন বাগ-বাগিচা তথা জান্নাত এবং তোমাদের জন্য তৈরি করবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২) আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে ধাবমান হও; যার প্রশস্ততা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ন্যায়। যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকি তথা আল্লাহ ভিরুদের জন্য। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা রাগ সংবরণকারী আর মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। আল্লাহ নেককারদেরকে ভালবাসেন। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৩-১৩৪) আল্লাহ তাআলা সব-নবি রাসুল ও তাঁদের অনুসারিদেরকে ইসতেগফারের নির্দেশ দিয়েছেন। আর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ ও অনুকরণ করার অন্যতম মাধ্যমও তাওবা ইসতেগফার করা। কারণ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেগোনাহ মা’ছুম তথা নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তাওবা করতেন। ক্ষমা প্রার্থ...
Image
“শ্রেষ্ঠ দোয়া” “শ্রেষ্ঠ দোয়া” দোয়া: رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার। অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, আখেরাতেও সুখ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। -সূরা আল বাকারা: ২০১ ফজিলত: এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.) এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন। বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি হজরত আনাসকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা.) কোন দোয়া বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি হজরত আনাস (রা.) উপরোক্ত দোয়ার কথা জানালেন। তাই হজরত আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দোয়াতে এই আয়াতকে প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে তিনি তাকে এ দোয়া দিতেন। -সহিহ মুসলিম: ৭০১৬ একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) এক রোগী দেখতে গেলেন। তিনি দেখলেন, রোগী একেবারে হাড্ডিসার হয়ে গেছে। নবী (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি আল্লাহর কাছে কি কোনো প্রার্থনা করেছিলে? সে নিবেদন করল, হ্যা...

- - ইস্তেগফারের গুরত্ব, ফজীলত সময় ও উপকার - -

Image
- -  ইস্তেগফারের গুরত্ব, ফজীলত  সময় ও  উপকার - -  ইস্তেগফার অর্থ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা । তুমি ক্ষমা চাও তোমার ও মুমিন নারী-পুরুষদের ক্রটি-বিচ্যূতির জন্য (সুরা মুহাম্মদ, ১৯)  আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ মাশীল, পরম দয়ালূ (সুরা নিসা, ১০৬)  নুহ (আ.) আল্লাহর কাছে বন্যা থেকে নিজ ছেলেকে পরিত্রাণ দেয়ার আবেদন করেন। কিন্তু এটিকে আল্লাহ তায়ালা অন্যায় বলে গণ্য করলে নুহ (আ.) এ বলে ইস্তেগফার করেন, ‘হে প্রভু, আমি আপনার কাছে এমন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা থেকে পানাহ চাই যার ব্যাপারে আমার কোনো জ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ক্ষমা ও দয়া না করলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।’ (সূরা হুদ : ৪৭)। মুসা (আ.) এক মিসরিকে হত্যা করে ফেললে তৎক্ষণাৎ অনুতপ্ত হয়ে এ বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, ‘হে রব, আমি নিজের ওপর জুলুম করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (সূরা কাসাস : ১৬)। ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘আল্লাহ তো তিনি যার ব্যাপারে আমি আশা রাখি যে, তিনি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (সূরা শুআরা : ৮২)। ইউনুস (আ.) মাছের পেটে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ ...